অন্তবর্তীকালিন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বারের মত অনুষ্ঠিত হচ্ছে যাচ্ছে নিয়োগ পরীক্ষা। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের হস্তান্তরিত স্বাস্থ্য বিভাগের আওতাধীন ৬ ক্যাটাগরিতে ৫৮টি পদের বিপরীতে ৭১৯০টি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে ৫৫০০জন এই পদে ইন্টারভিউ কার্ড পেয়েছেন। আগামীকাল শুক্রবার সকালে শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০টি কেন্দ্রে প্রার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবেন। নিয়োগ নিয়ে বহু জল্পনা কল্পনায় আজ রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান, স্টোর কিপার, পরিসংখ্যানবিদ, স্বাস্থ্য সহকারী, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও ড্রাইভার এই ৬টি পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিগত দিনে জেলা পরিষদে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম দুনীতি ও টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই নিয়োগেও আশংকা প্রকাশ করছে অনেকে। তবে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে কঠোর অবস্থানে আছেন এই পরিষদ।
পরিষদের চেয়ারম্যান ও নিয়োগ কমিটির আহবায়ক দেব প্রসাদ চাকমা নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে আছেন বলে জানা গেছে। ইতি মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও স্থানীয় লোকজনের মূখে নানান গুনঞ্জন শুনা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছে এবারও নিয়োগ পরীক্ষায় আইওয়াশ দেখতে পাবো।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য বিভাগের আওতাধীন ৬ ক্যাটাগরিতে নিয়োগ পরীক্ষায় সকল ধরনে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভেজালমুক্ত উপহার দিতে ১০টি কেন্দ্রে ১০জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাছাই করে কেন্দ্রে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনের লোকজন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। একইসাথে পরীক্ষায় কোন ধরনের সমস্যা যেন না হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা পরিষদ সদস্য ও নিয়োগ কমিটির আহবায়ক দেব প্রসাদ চাকমা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের আওতাধীন ৬ ক্যাটাগরি ৫৮ পদের বিপরীতে ৭১৯০টি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে ৫৫০০জন আজকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে গোপনে করা হবে। মানুষ ভাবছে বিগত দিনে যে ভাবে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে এবারও সেভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি সাহসিকতা ও বুকভরা সাহস নিয়ে দাবি করে বলেন, নজিরবিহীন একটি নিয়োগ পরীক্ষা এবার রাঙামাটিবাসীকে উপহার দেব। যা পরীক্ষা শেষ হলে বা ফলাফল বের হলে সবাই বুঝতে পারবেন। সবাই মনে করছেন বিগত জেলা পরিষদ যে ভাবে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছে এই পরিষদ ও সে ভাবে পরীক্ষা নেবে। এই নিয়োগে পরিষদের কাউকে রাখা রাখা হয়নি। শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।
তবে পরীক্ষার্থীরা অনেকেই বলছেন, নিয়োগে সেরা কালের সেরা অনিয়ম দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সব ধরনের কোটা সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে নামে মাত্র একটি নিয়োগ পরীক্ষা।