রাঙামাটিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে খোরশেদ আলম লিটন নামে এক যুবদল নেতাকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশে দিয়েছে ছাত্রদল নেতা। খোরশেদ শহরের ৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক বলে জানা যায়। কোতোয়ালি থানার ওসি সাহেদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘খোরশেদ কে থানায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচাই-বাছাই চলছে’।
আজ (সোমবার, ২১ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে শহরের চিং-হ্লা মং মারী স্টেডিয়াম এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশে দেন রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শাকিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- চাঁদা আদায়ের সময় স্থানীয়দের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
৮নং স্টোডিয়াম এলাকার বাবুল ষ্টোর এর ওএমএস প্রতিনিধি এবং রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শাকিল অভিযোগ করে বলেন, আমি রাঙামাটিতে ওএমএস এর ব্যবসা পরিচালনা করি। খোরশেদ আলম লিটন দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের পরিচয় ব্যবহার করে আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে। আজ সে আবারও চাঁদা নিতে এলে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়। তখন আমিসহ স্থানীয়রা তাকে ধরে পুলিশকে খবর দেই। পরর্বতীতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এসে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
তাকে আটকের বিষয়ে এই প্রতিবেদক জানতে চাইলে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সাহেদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা তো তাকে আটক করি নাই। আটক করেছে ছাত্রদল নেতা। আমাদের কে খবর দিয়েছে আমরা নিয়ে আসছি। আসলে ঘটনা কি জানি না। না জেনে কিভাবে বলবো। আগে জানি তারপর আপনাকে বলবো’।