পাহাড়ে শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়া রোধে কাজ শুরু করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশ্রয় অঙ্গন।
ঝড়ে পড়া বিদ্যালয় বহির্ভূত ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের দ্বিতীয় বার পড়ালেখার সুযোগ নিশ্চিত করতে সরকারের আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম পিইডিপি-৪ এর আওতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে আশ্রয় অঙ্গন।
মহান স্বাধীনতা দিবসে এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। শনিবার বিকালে রাঙামাটি পৌর শহরের স্বর্ণটিলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস.এম ফেরদৌস।
এ সময় তিনি বলেন,
বর্তমান সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। বিভিন্ন কারণে ঝড়ে পড়া শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার মুলধারায় ফিরে আনা এবং কর্মমুখী শিক্ষায় অন্তর্ভূক্ত করতে পারলে দেশের বিনির্মানে তারা সম্পদে পরিনত করা হবে। তিনি সরকারের এ সুযোগ আন্তরিকভাবে গ্রহণ করার জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা উপানুষ্টানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক জগলুল হায়দার, আশ্রয় অঙ্গনের নির্বাহী পরিচালক অমিয় সাগর চাকমা।
আশ্রয় অঙ্গন রাঙামাটি জেলার ৬ টি উপজেলায় ৪২০ টি উপানুষ্টানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন কারণে শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়া শিশুদের উপানুষ্টানিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার মুলধারায় ফিরে আনা হবে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য যেন পাহাড়ে সব শিশু শিক্ষার আওতায় আসে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত জুনে এ প্রকল্প শেষ হবে।
আশ্রয় অঙ্গনের নির্বাহী পরিচালক অমিয় সাগর চাকমা বলেন,
দারিদ্রতা, অসচেতনতা, দুর্গমতার কারণে পাহাড়ে অনেক শিশু প্রতি বছর শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়ছে। এ ঝড়ে পড়ার হার সমতল অঞ্চলের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। দেশ মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত হয়েছে। এমন অবস্থায় পাহাড়ের অনেক শিশু শিক্ষা বিহীন অবস্থায় থাকবে তাহলে হবে না। সরকার চাচ্ছে পাহাড়ের সব শিশু যেন শিক্ষার আওতায় আসে। সরকারের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আশ্রয় অঙ্গন কাজ করবে। এ আওতায় শিশুরা বিনামূল্যে বই, শিক্ষা সামগ্রী ছাড়াও উপ বৃত্তি পাবে।