রবিবার , ২৩ জুন ২০২৪ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

রাঙামাটিতে সেমিনারে বক্তারা / পাহাড়ে আখের চাষ খুলেছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা

প্রতিবেদক
এম কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি
জুন ২৩, ২০২৪ ৭:১১ অপরাহ্ণ

পাহাড়ে আখের চাষে খুলেছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা। বর্তমানে তামাকের পরিবর্তে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ব্যাপকহারে চাষাবাদ হচ্ছে আখের। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে চার বছর মেয়াদী একটি আখচাষ প্রকল্প। রোববার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব তথ উপস্থাপন করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রাঙামাটির প্রধান কার্যালয়ের ‘কর্ণফুলী’ সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন এ বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা। প্রকল্প ও উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য-প্রশাসন (উপসচিব) মো. মাহবুবউল করিমের সভাপতিত্বে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থসামাজিক উন্নয়নে ইক্ষু, সাথী ফসল ও গুড় উৎপাদনের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হারুন-অর রশীদ, সদস্য-অর্থ মো. জসীম উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক তপন কুমার পাল ও রাঙামাটি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. নাসিম হায়দার। প্রকল্পের কার্যক্রম মালটিমিডিয়া প্রজেক্টরে উপস্থাপন করেন কৃষিবিদ ধনেশ^র তঞ্চঙ্গ্যা। এছাড়া প্রকল্পে সুফলভোগী কৃষক রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মো. বাদশা মিয়া ও রাঙামাটি সদরের সাপছড়ি এলাকার সাধন মনি চাকমা আখ চাষে নিজেদের সাফল্য ব্যক্ত করেন। আলোচনায় অংশ নেন উপস্থিত অভিজ্ঞজন ও সাংবাদিকরা।

এ সময় উপস্থিত কৃষক মো. বাদশা মিয়া বলেন, তিনি তার এক বিঘা জমিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় আখ চাষ করেছেন। এবারই তার প্রথম আখের চাষাবাদ। শুরুতেই কম করে হলেও ১ লাখ ২০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করতে পারবেন তিনি। ইতোমধ্যে একই সঙ্গে আবাদ করা উৎপাদিত ফসল ফুলকপি, বাঁধাকপি ও টমেটো বিক্রি করে ৮০ হাজার টাকা পেয়েছেন।

আরেক কৃষক সাধন মনি চাকমা বলেন, আখ চাষ খুবই লাভজনক ফসল। তিনি দীর্ঘ আট বছর ধরে আখের চাষাবাদ করে আসছেন। তার অভিজ্ঞতা থেকে এক বিঘা জমিতে আখের চাষাবাদ করলে বছরে আখ বিক্রিতে ৫০-৬০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু মেশিন দিয়ে রস বের করে বিক্রি করলে পাওয়া যায় বছরে ৫-৬ লাখ টাকা। তাই বর্তমানে তিনি মেশিনে পিচে বের করে আখের রস বিক্রি করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করে থাকি। এ অঞ্চলে আখের চাষাবাদে আসা সাফল্য অর্থনৈতিক উন্নয়নে অপার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এটিকে টিকিয়ে রেখে অর্থনৈতিক উপার্জন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: