রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় শাপলা বিলে ফুটেছে শাপলা ফুল। এ ফুল দেখতে প্রতিদিন সকালে বিলে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। রাঙামাটি শহর থেকে পর্যটক আসছে শাপলা বিলে।
প্রতিদিন সকাল বেলায় লাল আর সাদা শাপলায় কানায় কানায় পুর্ণ হয় শাপলা বিলের চারদিক। যা দেখে সবার মন প্রাণ প্রশান্তিতে ভরে উঠে।
যেভাবে আসবেনঃ
রাঙামাটি শহর থেকে যেকোন টেম্পু বোট যোগে আসা যাবে। তবে বিশেষ বোট রিজার্ভ বা ভাড়া করে আসলে ভাড়া গুনতে হবে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। তবে সকালে লঞ্চে আসা সম্ভব।
এ ছাড়াও নিয়মিত চলাচল করা গণ নৌ পরিবহন লঞ্চে করে সকাল সাড়ে ৭ টায় যাত্রা করলে ১০ টায় পৌছানো সম্ভব। এতে ভাড়া ১২০ টাকা। ফেরা যাবে দুপুর দেড় টার লঞ্চে।
এছাড়াও দ্রুত নৌযান স্পীড বোটে আসা যাবে শাপলা বিলে। সকাল ৭ টায় শহরের শিল্পকলা ঘাট থেকে স্পীড বোট ছাড়ে। এতে জন প্রতি ভাড়া গুনতে হবে পাঁচ শত টাকা।
রিজার্ভ এলে ভাড়া গুনতে হবে প্রতি স্পীড বোট ছয় হাজার টাকা।
আবাসন ব্যবস্থাঃ
রাত্রিযাপনে কোন আবাসিক হোটেল ব্যবস্থা নেই উপজেলায়।
তবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের বিশ্রামাগারে স্বল্প সংখ্যক আবাসিক রুম রয়েছে। প্রায় সময় বুকিং থাকে।
জুরাছড়িতে রাত্রিযাপনের পরিকল্পনা থাকলে বিশ্রামাগারের তত্বাবধায়ক চয়ন কান্তি চাকমাকে ০১৫৫৭২২৭৪০১ এ নম্বরে ফোন করে রুম বুকিং দিতে হবে।
যেখানে খাবারঃ
উপজেলার বড় ধরনের খাবার হোটেল নেই। তবে ভরসা যোগ্য আলী হোটেল। ভাল কাবারের জন্য অগ্রীম বলে রাখলে ভালো। তার ফোন নম্বর ০১৫৫২৬৯৩৫২৬। যদি পাহাড়ি রান্না খেতে চাইলে বিশ্রামাগারের চয়ন কান্তি চাকমা বলে সে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে থাকে।
শাপলা বিল ঘুরার নৌকাঃ
শাপলা বিল ঘেঁষে সাপছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আশাপূর্ন চাকমার বাড়ী। তার একটি নিজস্ব নৌকা রয়েছে। তার সহযোগিতা চাইলে নৌকা পাওয়া সম্ভব।