সময়ের সাথে সাথে দেশের অন্যান্য জেলার মতো পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেও বেড়েছে নারীদের মোটরসাইকেলের ব্যবহার। পাহাড়ের উঁচু নিচু পথে প্রয়োজনীয় বাহন হিসেব নানা বয়সী নারীদের কাছে বেড়েছে মোটর সাইকেলের কদর।
পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে নারীদের কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতে পোহাতে হয় নানা ভোগান্তি।রাঙমাটিতে যাতায়াতের মূল মাধ্যম সিএনজি। কিন্তু সিএনজিতে ভাড়া বেশি, চালকদের অসৎ আচরণ সহ নানা দুর্ভোগে নারী যাত্রীরা। তাই আধুনিকতা ও সময়ের প্রয়োজনে নেতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি উপেক্ষা করে মফস্বল শহরে রাঙামাটিতে দেশের অন্যান্য জেলার মত বাড়ছে নারীদের মোটর সাইকেল ব্যবহার।
নারী বাইকার জিমি চাকমা বলেন, হুটহাট করে যে কোন কাজে যে কোন সময় আমি মুভমেন্ট করতে পারছি আমার বাইক দিয়ে। কারোর উপর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হচ্ছে না।
বাইকার জয়ন্তী চাকমা বলেন, আমাদের রাঙামাটিতে যাতায়াতের মাধ্যম হচ্ছে সিএনজি।তবে সিএনজিতে ভাড়া একটু বেশি নেয়। আমাদের নারীদের কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমি আমার বাইক দিয়ে প্রয়োজনীয় যে কোন কাজে বের হতে পারি। এতে করে অনেক সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়।
গণপরিবহণের চেয়ে ঝামেলা কম, অর্থ ও সময় সাশ্রয়ের কারণে রাঙামাটিতে দিন দিন বাড়ছে নারী বাইকারদের সংখ্যা। বর্তমানে রাঙামাটিতে প্রায় একশো উপর নারী বাইকার রয়েছে।
নারীদের জন্য পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের বাধা রয়েছে। আবার নারীরা অনেক সময় বাইক নিয়ে রাস্তায় বের হলেই বখাটেরা বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করে। পাশাপাশি রাস্তায় চলাফেরায় সময় সিএনজি, বাস-ট্রাক চালকরা সাইট দিতে চায় না। এতে করে প্রায় সময় ছোট বড় দুর্ঘটনাও ঘটে।
এ সব সমস্যা সমাধানে স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন নারী বাইকাররা।