রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ভূমি-গৃহ হীনরা পাচ্ছেন মাথা গোঁজার ঠাঁই।
আবারো উদ্বোধনের অপেক্ষায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চতুর্থ পর্যায়ের ৪১টি ঘর ।
আগামী ২২মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থ ধাপে নির্মিত ঘরগুলো উদ্বোধন করবেন।
জমিসহ আধা-পাকা ঘর পেয়ে খুশি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারগুলো।
এ ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়েছে অনেক ভূমিহীন ও গৃহহীন বিধবা, নিঃসন্তান নারী, পুরুষ যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিলো না।
আজ তারা ২ শতাংশ জমিসহ পাকা ঘর পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন। চোখে মুখে আনন্দ।তাদের মধ্যে এক উপকারভোগী বিধবা নারী বাসন্তী মজুমদার, ছোট্ট একটা বেড়ার টিন, কাঠ, টিনের দরজা ও জানালারও ভগ্নদশা। এমন জরাজীর্ণ ঘরের টিন নষ্ট হওয়াতে পলেথিন টাঙিয়েছেন উপরে সেই ঘরে বসবাস করতেন প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে।
আজ এমন একটি ঘর পেয়ে খুশিতে চোখের জল পেলে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘদিন বাঁচায়ে রাখুক তাঁর জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করি।আজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারনে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছি।
ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন তার সরকারের আমলে ‘একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না, গ্রাম হবে শহর’। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রম্নতি অনুযায়ী আশ্রয়ণ প্রকল্প ২-এর আওতায় সারাদেশের মতো রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ভূমিহীনদের জন্য ৪১টি ঘর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
নির্বাচিত ও যাচাই-বাছাই করা ভূমি-গৃহহীনদের নামে এসব ঘরের দলিলও ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে।
আগামী ২২মার্চ ভূমিহীনদের হাতে দলিল তুলে দেওয়া হবে।এর মধ্যে রয়েছে ঘাগড়া ইউনিয়নে ১৪টি,কলমপতি ইউনিয়নে ১১টি,বেতবুনিয়া ইউনিয়নে ১১টি ও ফটিকছড়ি ইউনিয়নে ৫টি।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সাদিয়া নূরিয়া বলেন,প্রতিনিয়ত আশ্রয়ণ-২ নির্মাণ স্থলে গিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ প্রকল্পের কাজ তদারকি করেছি। উপজোলা মনিটরিং টিমও নিয়মিত মনিটরিং করেছে। আগামী ২২মার্চ সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে কাউখালী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ঘরগুলোও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। একই সঙ্গে গৃহের ও ভূমির দলিল ভূমিহীনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এরপর স্থায়ীভাবে এসব গৃহে বসবাস করতে পারবে তারা। পাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে অন্যের আশ্রয়ে বা পথেঘাটে পড়ে থাকা এসব ভূমিহীন মানুষের।
প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘরগুলো যথাযথ মান বজায় রেখে স্থায়ী ও টেকসই মানের উন্নত মালামাল ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক নজরদারি ও জেলা ও উপজেলা মনিটরিং টিমের সার্বক্ষণিক তদারকিতে ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর দুই শতাংশ সরকারি জমির উপর দুই লাখ ৮৪ হাজার ৫শত টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষবিশিষ্ট ওয়ালসেড ও পাকা ল্যাট্রিন, রান্নাঘরসহ নির্মাণ করা হয় বলে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল করিম।
উল্লেখ্য এর আগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ভূমি-গৃহহীন ১০৯ পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছে।