রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় অর্ধ কোটি টাকায় বাস্তবায়িত একটি উন্নয়ন প্রকল্পে রাস্তা নির্মাণ করা হলেও তাতে যাতায়াত ব্যবস্থা তৈরি হয়নি।
২০১৬-১৮ অর্থবছরে বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ডাউনপাড়া এবং পাংখোয়াপাড়াসহ আশপাশের লোকজনের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। কিন্তু রাস্তার আগেই শেষ হয় প্রকল্প। ফলে অসম্পন্ন রয়ে যায় তিন কিলোমিটারব্যাপী রাস্তাটির নির্মাণ কাজ। বর্তমানে জঙ্গলেই পরিত্যক্ত রাস্তাটি। এতে গড়ে ওঠেনি এলাকাবাসীর যাতায়াত সুবিধা। অর্জিত হয়নি প্রকল্পের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য।
তাই যাতায়াতের উপযোগী করতে রাস্তাটি পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। সরেজমিন অনুসন্ধানে এসব তথ্যচিত্র উঠে আসে। জানা যায়, এলাকাবাসীর চাহিদার ভিত্তিতে ওই উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের ডাউনপাড়া হতে পাংখোয়াপাড়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ২০১৬ সালে একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থ বরাদ্দে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। কিন্তু কেবল অর্ধেক রাস্তার মাটির কাজ করেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালে। এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল ওই এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন। রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে সেখানকার যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি উৎপাদিত কৃষিজাত দ্রব্যাদি বাজারজাতে সহজতর হয়ে উঠবে। কিন্তু অসম্পন্ন রাস্তা নির্মাণের কারণে প্রকল্পের এ অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। এলাকাবাসী জানান, প্রায় ৫ বছর আগে মাটি কেটে রাস্তাটির অর্ধেকের মতো কাঁচা রাস্তা তৈরি করা হয়। পুরো রাস্তা না হওয়ায় লোকজন হাঁটাচলাও করতে পারেননি। পুরো রাস্তাটি তৈরি হলে এলাকাবাসীর উপকারে আসবে।
প্রকল্পটির বাস্তবায়নকালে তদারককারীর দায়িত্বে থাকা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কান্তি দেওয়ান বলেন, প্রকল্পটির নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ওই রাস্তাটির নির্মাণ কাজ সম্পাদন করা হয়েছিল। এতে বরাদ্দের ৫০ লাখ টাকার মধ্যে ব্যয় ছিল ২৭ হাজার ৩২৮ ঘন মিটার মাটির কাজে ৪৫ লাখ টাকা এবং ৬০০ বর্গমিটার প্যালাসাইডিং কাজে ৫ লাখ টাকা। পরবর্তীতে নতুন করে কোনো প্রকল্প না নেওয়া হয়নি। তাই রাস্তাটির উন্নয়ন ও সংস্কারে নতুন প্রকল্প নেওয়া দরকার।