বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৩০ জুলাই হতে টানা ৪ দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিপাত এবং সাজেক-ভারত সীমান্ত এলাকা থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল আবোরো তলিয়ে যাবার আশংকা দেখা দিয়েছে। সড়কের বেশ কিছু অংশের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই নিম্নাঞ্চলের অনেকাংশে বাড়ি- ঘরের উঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। শনিবার ৩ আগষ্ট খাগড়াছড়ি -দীঘিনালা সড়কের একাংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ৩ আগষ্ট শনিবার সকাল থেকে বাঘাইছড়ির সাথে জেলা সদর-উপজেলায় ছোট-বড় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে পর্যটন এলাকা সাজেক বেড়াতে আসা প্রায় তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার জানান, আটকা পড়া পর্যটকরা গতকাল সাজেক গিয়েছিল, হঠাৎ পানি বেড়ে সড়কের কিছু অংশ তলিয়ে যাওয়ায় তাঁরা ফিরতে পারেনি এবং সাজেক অবস্হান করছে। বন্যার পূর্বাভাস পাওয়ার সাথে সাথে সকল প্রস্তুতি মোকাবেলায় ব্যবস্থা নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাচালং নদীর পানি বিপদ সীমা রেখার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ও পাহাড়ি ঢলে বন্যার আশংকায় উপজেলার সবকটি আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রিতদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গত ২৮ মে প্রথম দফায় ৮ টির ও অধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। গত ২৯ জুলাই দ্বিতীয় ধাপে সাপ্তাহব্যাপী বন্যায় প্রায় আড়াই হাজার পরিবার ক্ষতি সাধিত হয়। তৃতীয় ধাপেও বন্যার আশংকা রয়েছে।