আজ প্রতিমা বিসর্জন যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও পূজা অর্চনার মধ্যে দিয়ে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলায় ৪টি পুজা মান্ডপে উদযাপিত হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব।
শনিবার বিজয়ী দশমীর মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হলেও শনিবার হওয়াতে প্রতিমা বিসর্জন রবিবার। প্রতিমা গুলো রাজস্থলী বাজারের পাশের পুকুরে ও বাঙ্গালহালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে এবং কর্ণফুলী নদীতে বিসর্জন দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে পুজা পরিচালনা কমিটি। রাজস্থলীতে সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে ছিল পূজার্থীর ভিড়।
পূজা শুরু থেকে কাপ্তাই জোনের মাননীয় কমান্ডার লেঃ কর্ণেল নুর উল্লাহ জুয়েল পিএসসির নির্দেশে পূজা মান্ডপ গুলোতে কঠোর নিরাপত্তায় জন্য সুরক্ষায় ড্রোন ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণে ছিলেন। সাথে সার্বক্ষণিক পুজা মান্ডপ পরিদর্শন করেছেন রাজস্থলী ও বাঙ্গালহালিয়া আর্মি ক্যাম্প, উপজেলা প্রশাসন, সহকারী পুলিশ সুপার (রাজস্থলী সার্কেল) ও রাজস্থলী এবং চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ। পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
প্রতিবারের মতো এবারও অষ্টমীতে কুমারী রূপে দেবী দুর্গার আরাধনা করেছেন ভক্তরা। এছাড়াও অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে করা হয় সন্ধি পূজা। বিজয়ী দশমী পূজার মধ্যে দিনে শেষ হয়েছে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। তবে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে আজ রবিবার।
অশুভ, অন্যায়, পাপ পঙ্কিলতার বিরুদ্ধে ন্যায়, পূর্ণ, সত্য ও সুন্দরের যুদ্ধ। পূজা শেষে দেবী দুর্গাকে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হয়। অষ্টমী শেষে সন্ধি পূজা এবং পরে নবমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শাস্ত্রমতে নবমী তিথিতে দেবী দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর। মাকে প্রণাম জানানোর পাশাপাশি আগামী দিনের সুখ শান্তি ও মঙ্গল প্রত্যাশা করেন সনাতনী নারী ও পুরুষেরা।
উপজেলায় এবার ৪টি পূজামন্ডপে চলছে সনাতন ধর্মালম্বীদের দুর্গাপূজা। ১৩ অক্টোবর ( রবিবার) সকালে পুস্পাঞ্জলি গ্রহণ শেষে পূজা সম্পন্ন হলেও দেবী দুর্গার প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় এই শারদীয় দুর্গোৎসব।
রাজস্থলী সার্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিঠুল চন্দ্র দে জানান, পূজা উপলক্ষে আলোকসজ্জা, মেলার আয়োজন, আরতি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করেছেন। নবমী মানে অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি। শ্রী রামচন্দ্র দুর্গার শক্তি আর আশীর্বাদ নিয়ে এই দিনে অশুভ রাবণকে বিনাশ করেছিলেন বলে একে অকাল বোধন বলা হয়। শাস্ত্রমতে, মহানবমীর দিনে নিজের মনোবাসনা জানিয়ে যজ্ঞে আহুতি প্রদান করলে ধন ও যশপ্রাপ্তি ঘটে। দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর দিন হলে ও একদিন পর প্রতিমা বিসর্জন দিচ্ছি। দেবী দুর্গার কৈলাসে ফিরে যাওয়ার দিন। সকালে দুর্গা দেবীর দশমী বিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়। আজ বিভিন্ন স্থানে নদী কিংবা পুকুরে অথবা সমুদ্রসৈকতে বিসর্জন অনুষ্ঠান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্র বলেন উপজেলায় চার টি পূজা মান্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উৎসব মুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।সরকারি ভাবে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রধান করা হয়েছে বলে জানান।