বিজিবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক, মানহানিকর, ভুয়া ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ বহু মামলার আসামী, গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামী ও দৈনিক একুশেবানী পত্রিকা থেকে বহিস্কৃত সাংবাদিক নামধারী মিজানের খুটির জোর কোথায়? একজন ভুইফোঁড় অপেশাদার সাংবাদিক নামধারী মিজানুর রহমান মিজান একজন বিজিবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নামে বেনামে হয়রানিমূলক মিথ্যা, ভুয়া ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত নিউজ করার সাহস পায় কি ভাবে? দেশে ভুইফোঁড় পত্রিকা যেমনি বেড়েছে, তেমনি সারা দেশে বেড়েছে সাংবাদিক নামধারীদের সংখ্যা। অন্তর্বর্তীকালিন সরকার এই সব ভুইফোঁড় পত্রিকা, অনলাইন ও ভুইফোঁড় সাংবাদিকদের আইনের আওতায় আনা অতিব জরুরি বলে মনে করে দেশের সচেতন মহল। তাই সাংবাদিক নামধারী মিজানকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে তাকে গ্রেফতার করা হউক।
কে এই মিজান? বাড়ি ঘর বা সে থাকেন কোথায়? বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো-মোঃ মিজানুর রহমান মিজান(৫০),পিতা-মৃত সামসুল হক মাতব্বর,সাং-জুংগুরদী লস্করদিয়া, থানা ও উপজেলা-নগরকান্দা,জেলা-ফরিদপুর। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, সাংবাদিক নামধারী এই মিজানুর রহমানের সম্পর্কে নগরকান্দা উপজেলা ও ফরিদপুর জেলায় একজন লোকও তাকে ভালো বলেনি। স্থানীয়রা সবাই বলছে মিজান ধান্দাবাজ ও চাঁদাবাজ নামে এলাকায় পরিচিত। এমন কি স্থানীয় ভাল মানের কোন সাংবাদিকের সাথে তার সম্পর্ক নেই। অনিয়ম দুর্নীতির দায়ে একুশেবানী পত্রিকা থেকে মিজানকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সে খবর একুশেবানী পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ফৌজদারি মামলা। গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিল পরে মুচলেকা দিয়ে জামিনে এসেছে। বিজিবির সহকারি পরিচালক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে এই মিজান অন্য ভুইফোঁড় নামধারী সাংবাদিক দিয়ে নামে বেনামে সংবাদ পরিবেশন করে মানসম্মান ক্ষুন্ন করে আসছে। সম্প্রতি স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত ভুইফোঁড় ও আন্ডারগ্রাউন্ড বিভিন্ন পত্রিকায় একজন সুনামধন্য বিজিবি সহকারি পরিচালকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে। এই মিজান বিজিবি’র সহকারি পরিচালকের বীর মুক্তিযোদ্ধা (হেমায়েত বাহিনী) পিতা হাবিবুর রহমানকেও গ্রামের বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে হামলা মামলা এবং নির্যাতন করে আসছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকার পরও মিজান ক্ষান্ত হচ্ছে না। আসলে দেশে কি কোন আইনের শাসন নাই? সাংবাদিক হাবিবুর রহমান একজন প্রবীন সাংবাদিক। তিনি বাংলাদেশের প্রথম সারির একজন লেখক ও কলামিষ্ট। নামধারী সাংবাদিক মিজানকে হাতে কলমে সাংবাদিকতার পেশায় এই প্রবীন সাংবাদিক হাবিব’ই এনেছে এবং সাংবাদিকতার হাতে খরি করিয়েছেন। মিজানের চাদা বানিজ্যর জন্য তাকে দৈনিক একুশেরবানী প্রত্রিকা থেকে গত ১-৯-২০১৪ তারিখে বহিষ্কার করা হয়। উক্ত বহিস্কারকে কেন্দ্র করে মিজানের সাথে সাংবাদিক হাবিবুর রহমান এর সাথে দন্ধের সুত্রপাত হয়। তখন থেকেই প্রবীন সাংবাদিক হাবিবের সাথে মিজানের শত্রুতা। বিগত সরকারের আমলে মিজান স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের মদদ দাতা হিসেবে ব্যাপক ক্ষমতার মালিক হন। নগরকান্দা থানায় ছিল মিজানের অভয় অরন্য । নিরহ মানুষদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করত এই মিজান। কেউ মিজানের বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে তা গ্রহন করা হত না এমনকি ফরিদপুর কোটে কোন মামলা করলে তাকে হাজিরা দিতে বাধা প্রদান করত এই মিজান। অভিযোগ রয়েছে মিজানের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আছে যা বিগত সরকারের দোসর ছিল এখনও আছে। গত ৫ আগস্টের পর মিজান খোলস পাল্টিয়ে বিএনপির সাইনবোড ব্যবহার করছে। মিজান যদি বিএনপির ক্যাডার হত তাহলে গত বছরের মিজানের নামে আওয়ামিলীগের কোন মামলা নেই কেন। অথচ মিজানের বড় ভাই (সৎ ভাই) জাজরিজ মাতুব্বর যিনি বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে তৎকালীন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের। মিজান এখন তার বড় ভাই এর সাইনবোড ব্যবহার করে নিজেকে বিএনপির কমী পরিচয় দিয়ে এবং সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাদা বানিজ্য করছে।
গত ১/৬/২০১৯ তারিখে দৈনিক একুশেবাণীর আরো একজন চাদাবাজ সাংবাদিক দিপিকাকে সম্পাদক বহিস্কার করেন। উক্ত বহিস্কারকে কেন্দ্র করে উক্ত দিপিকা মিজানের সাথে যোগসাজসে প্রবীন সাংবাদিক হাবিবুর রহমান এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়া নারী নির্যাতন মামলা দেন। উক্ত মামলা বাদী দিপিকা কর্তৃক মানিত সকল সাক্ষী আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে যে; দিপিকা যেসকল অভিযোগ হাবিবুর রহমান এর বিরেুদ্ধে এনেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীণ এবং হাবিবুর রহমান ও তার পরিবারের মান ক্ষুন্ন করার জন্য করা হয়েছে। এই মামলাকে কেন্দ্রে করে বাহিবুর রহমান এর বড় সন্তান বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান এর কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে উক্ত মিজান। মিজানের বক্তব্য – দিপিকাকে তিনি পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে এই মামলা করিয়েছেন তাই এই মামলা তুলতে বা মিমাংসা করতে উল্লেখিত টাকা দিতে হবে। উক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করেন বিজিবির কর্মকর্তা। যার ফলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সরকারী পোশাক পরিহিত ছবি দিয়ে একটি সনামধন্য বাহিনীর মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে এই মিজান।
মিজানের এই চাদা দাবী ও মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করার জন্য ঢাকা সাইবার ট্রাইবুন্যালে মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিজিবির এই কর্মকর্তা। উক্ত মামলায় মিজানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল এবং মিজান মুচলেকা দিয়ে জামিনে আছে।
নগরকান্দাও ফরিদপুর জেলার আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, সচেতন মহল ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মিজান একজন লেভাজধারী সাংবাদিক পরিচয় বহনকারী টাউট লোক। সে সব সময় নামে বেনামে নিউজ করে লোকজনদের হয়রানি করে। এছাড়াও চাঁদাবাজিতে স্থানীয় ভাবে সর্ব প্রথম তার নাম চোখে পড়ে। সে হয়রানি করে না এমন লোক এই এলাকায় কম আছে। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় এবং জজ কোর্টে অনেকগুলো মামলা রয়েছে। তার পরও সে কি ভাবে সাংবাদিক পরিচয় দেয় তা আমাদের বোধগম্য নহে। আমরা মিজানের নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধে প্রতিকার চাই। সাথে সাথে তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
বিজিবি’র সহকারী পরিচালকের বক্তব্য— তিনি বলেন মিজানের সাথে আমার পিতার শত্রুতা শুরু হয় ২০১৪ সাল হতে। পিতার সাথে পেরে উঠতে না পেরে আমার কাছে চাদা দাবী করে। আমি চাদা দিতে রাজি না হওয়ায় আমার বিরেুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করে।