রবিবার , ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

খাগড়াছড়ি হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা

প্রতিবেদক
হলাপ্রু মারমা, খাগড়াছড়ি
ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪ ৮:০১ অপরাহ্ণ

অতিরিক্ত ঠান্ডায় পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। আক্রান্ত অধিকাংশ শিশু ও নারী। প্রতিদিনে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে আধুনিক সদর হাসপাতাল চিকিৎসা সেবা।

হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ সাথে কথা বলে জানা গেছে, গেলো একমাসে ৩ শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। সর্বশেষ গত ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৭ জন। ভালো হয়ে ফিরে গেছেন ১২ জন। ডায়রিয়া রোগী আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি বলেন জানান কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স তপনা চাকমা বলেন, এ মাস থেকে ডায়রিয়া রোগী প্রচুর বেড়েছে, মাঝে মধ্যে বারান্দায় জায়গা দিতে পারছিনা। সে তুলনায় আমাদের জনবল কম, উদ্বেগজনক হারে রোগী বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে বলে জানায় হাসপাতালে নার্স। তপনা চাকমা আরো বলেন, তারপরেও আমরা চেষ্টা করি সব রোগীরা যেনো যথাযথ ভাবে চিকিৎসা সেবা পাই।

প্রতিবেদক খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতাল সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পাই, ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। শয্যা সংকটে ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে ও বারান্দায়। বেশি রোগীর চাপে নানা মুখী সংকটের কারণে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে সেবা নিতে এসে ভোগান্তি পরেছে রোগী ও স্বজনরা।

বাঘাইছড়ি মারিশ্যা থেকে কুসুমা ও দীঘিনালা মেরুং ফাইদা খানন ও খাগড়াছড়ি থেকে ক্রানুচিং মারমা বলেছেন, আমাদের বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সাথে সাথে চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু করেছে। এখন আমার বাচ্চা অনেকটা সুস্থ। আজকে চলে যেতে চাইলে ডাক্তার বলেন আপনারা আরো একদিন থাকেন, রোগী ভালো না হওয়া পর্যন্ত থাকেন হাসপাতালে নার্স ও ডাক্তাররা ভালো ব্যবহারে আমরা মুগ্ধ। শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওনারা যথেষ্ট ভুমিকা পালন করে বলে জানান অভিভাবকরা।

ইমন রোয়াজা জানান, আমার ছেলে ডায়রিয়া ও বুমি  হওয়ার পরে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসছি। আসার পরে দেখলাম ডাক্তার, নার্স ও আয়া হতে সবাই ভালো চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। বর্তমানে আমার ছেলে সুস্থ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজকে ছাড়পত্র দিয়েছে।

কি পরিমাণ রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে ও ঔষধ কোনো ঘাটতি আছে কিনা জানতে চাইলে? খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতাল মেডিকেল অফিসার রিপ্পল বাপ্পি চাকমা জানান, প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৬০০ থেকে ৭শত জন ও জরুরি বিভাগের ১৫০ থেকে ১৬০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। শীত সংক্রান্ত রোগের জটিলতা অথবা রোগের আক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ মেডিসিন আমাদের হাসপাতালে মজুত আছে।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: