টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় অতিরিক্ত জোয়ার আর প্রবল বর্ষনে ভেঙে যাচ্ছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া। সাগরে নিম্নচাপ বা সতর্ক সংকেত শুরু হলেই বাতাসের গতিবেগ বেড়ে আঘাত হানে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধে। মুহুর্তেই ঢুকে পড়ে সাগরে জল লোকালয়ে।
প্রতি পূর্ণিমা ও অমাবশ্যায় অস্বাভাবিক জোয়ার শুরু হলে আতংকে রাত কাটে দেড়লক্ষ দ্বীপবাসীর। গত জুলাই মাস জুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত ছিল দ্বীপাঞ্চলে। শেষের দিকে উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের তাবালের চর, বায়ুবিদ্যুৎ, তেলিপাড়া, আনিছের ডেইল, কাজির পাড়া, সাইটপাড়সহ এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে খোলা হয়ে যায়। পানির স্রোতে শান্তিবাজার-তাবালের চর সড়কে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। এছাড়া উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের মিয়ারাকাটা গ্রামেও নতুন করে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ছৈয়দ নুর, মোহাম্মদ আলী জানান, ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে মাসে দু‘বার পানি ঢোকে। কাচা ঘর, ফসলী জমি শেষ হয়ে যাচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই। জিও ব্যাগ কোন কাজেই আসছেনা। ব্লক নির্মাণ করে প্রথমে দেয়া হলে তবেই দ্বীপ রক্ষা হতে পারে। নাহলে পুরো বাঁধটাই সাগরে চলে যাবে আস্তে আস্তে।
বড়ঘোপ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দীন ছোটন বলেন, আলী আকবর ডেইলের ভাঙন প্রতিরোধে বা সংস্কারে সরকারি তৎপরতা নেই। সুপারডাইকের আশ্বাস দিয়ে দ্বীপের অর্ধেকটা বিলীন হবার পথে। ৬ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারে স্বেচ্ছাশ্রমের উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা। এর আগে ঢাকায় দ্বীপের সুশীলব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, পেশাজীবিদের নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করতে চাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী এলটন চাকমা বলেন, আলী আকবর ডেইলের ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ কিছুটা সংস্কার করা হচ্ছে। অন্তত এক কিলোমিটার বাঁধের ক্ষতিসাধন হয়েছে । জোয়ার-ভাটার দরুণ নিয়মিত কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই সংকট আরো বেড়ে যায়। ফলে মাটির সংস্কার কাজ করা হলেও তা ফের ভেঙে যাচ্ছে।