‘কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশ দায়ী নয়, কিন্তু সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। প্রতিবছর বিভিন্ন দেশে ধরিত্রী সম্মেলন হয়। দায়ী ধনী দেশগুলোর নেতারা সেখানে কার্বণ কমিয়ে আনার নানান প্রতিশ্রুতি দেন। অনেক প্রস্তাব গৃহীত হয়। অথচ কার্যত দেখা যায় এদের অবদান অতি সামান্য। প্রতিশ্রুত অর্থ দেয় না এবং তাদের উদাসীনতা আছে। তাই উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি পূরণের অপেক্ষায় না থেকে আমরা নিজেরাই যেন সেই দায়িত্ব পালন করি। এজন্য বিশ্বে প্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে জলবায়ু তহবিল গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’। বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির এমপি দীপংকর তালুকদার এসব কথা বলেছেন।
আজ রবিবার দুপুরে রাঙামাটিতে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।রাঙামাটি-আসামবস্তি কাপ্তাই সড়কের ‘আই লাভ রাঙামাটি’ পয়েন্টে গাছের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে রাঙামাটিতে এবারের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। যৌথভাবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে দুর্ণীতি দমন কমিশন রাঙামাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয় ও বন বিভাগ রাঙামাটি অঞ্চল।
১৮ কি.মি. দৈর্ঘ্যের রাঙামাটি আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়ক প্রাকৃতিব সৌন্দর্যে ভরপুর। এর একপাশে কাপ্তাই হ্রদের নীল জলরাশি, অন্যদিকে সারি সারি দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ পাহাড়। মোহনীয় এই সৌন্দর্যে প্রতিদিনই আসছেন হাজারো পর্যটক। এবার সেই সৌন্দর্যে যুক্ত হচ্ছে সোনালু, জারুল, কৃষ্ণচুড়াসহ ৩ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এরমধ্য দিয়ে একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য তৈরিতে অবদান এবং অন্যদিকে পর্যটনশিল্পের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দুদকের রাঙামাটি কার্যালয়ের উপ পরিচালক জাহিদ কালাম অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান ছিলেন। বক্তব্য রাখন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ এসপিপি, ডিজিএফআই কর্নেল মো. আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, রাঙামাটি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী পিএসসি, এএসইউ পদাতিক ডেট কমান্ডার লে. কর্নেল মোহাম্মদ আল মামুন সুমন, রাঙামাটি অঞ্চল বন সংরক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, সওজ’র তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার, পিডিবিরতত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন আহমেদ, ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মহিউল ইসলাম ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ শফি প্রমূখ। এছাড়া সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলের পাশে বিভিন্ন গাছের চারা রোপন করেন।