কোনো শিশু যেনও ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন থেকে বাদ না যায় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে দুর্গম ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কোন শিশু বাদ না পড়ে সে দিকে নজর রাখার আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা।
জুরাছড়িতে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। শনিবার (১১জুন) বেলা ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সভাকক্ষে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভার আয়োজন করে জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনন্যা চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ দেলোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক প্রচারক চাকমা, সুনীল কান্তি চাকমা’সহ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ।
অবহিত করণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অনন্যা চাকমা বলেন, অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব দূর করতে এবং শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে শিশুকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি আরো বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক অনুপুষ্টি।
ডাক্তার অনন্যা চাকমা বলেন ১৫ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে মোট ৯৮টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬ মাস হতে ১১ মাস ২৯ দিনের ৩৯৭ জন শিশুকে নীল রঙ্গের ক্যাপসুল ও ৬ হতে ৫৯ মাস ২৯ দিনের ২৪৪২ জন বয়সের শিশুকে লাল রঙ্গের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে ।