খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেছেন, কোন পাবলিক নয়, ওয়াদুদ ভূঁইয়াকে তাঁর নিজের ভাতিজা, ভাগিনা এবং নিকট আত্মীয়ারাই বলে তাদের চাচা, মামা ভালো নয়, হত্যাকারি।
এখন সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার মতো ওয়াদুদ ভূঁইয়ার মুখ নেই। ২০০১ সালে এই ওয়াদুদ ভূঁইয়ার নির্দেশেই খাগড়াছড়ি আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিলো। সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ অসংখ্য মানুষের ঘরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে এই খুনি ওয়াদুদ ভূঁইয়া।
৩১ আগস্ট বুধবার বিকেলে শহরের নারিকেলবাগানে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে খাগড়াছড়ি পৌর আওয়ামীলীগ কতৃক আয়োজিত শোকাবহ আগস্ট হত্যা ক্যূ ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন’র সভাপতিত্বে ১৫ই আগস্টের স্মৃতিচারণ করেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র পরিমল দেবনাথ। সহ-সভাপতি ফরিদ উজ জামান স্বাধীন’র উপস্থাপনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়–য়া, মনির হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল ও পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পরিমল ধর বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামাত দেশ উন্নয়নে বিশ্বাস করেনা বলেই তারা ষড়যন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করে তুলেছে। পদ্মাসেতু তৈরি করে শেখ হাসিনা বিশ্বের দরবারে বিরল এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভূমিহীনদের জমিসহ ঘর উপহার দেওয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাগবে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভুঁইয়াকে ২০০১ সালের গডফাদার উল্ল্যেখ করে বলা হয়, সমাবেশের নামে জনগণকে হয়রানি এবং আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নামে মিত্যাচার করা হলে তার দাতভাঙা জবাব দেয়ার হুশিয়ারি দিয়ে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আহবান জানান বক্তারা।
এছাড়াও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কামাল পাটোয়ারী, দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার দে, উপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল আজম, সদস্য এ্যাডভোকেট নুর উল্লাহ হিরো, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় দাশ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম ইসমাইল হোসেন, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান হেলাল, পৌর যুবলীগের সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক পাটোয়ারী, পৌর আওয়ামী লীগের ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি/সম্পাদক সহ আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এতে অংশগ্রহণ করেন।